ফারজানা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাখিটি প্রকৃতিতে নিজের এক আলাদা স্থান করে নিয়েছে মহান এক বৈশিষ্ট্যের কারণে। বিভিন্ন মা হারা অনাথ পাখি ছানাদের মাতৃস্নেহ দিয়ে লালন পালন করে তারা। আর এই মহান কাজটি তারা করে থাকে কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই। যেকোন প্রজাতির পাখির ছানার দায়িত্ব নেয় এই বেনেবউ। অসাধারণ মমতাময়ী এই পাখিটি নিজের কাজের মাধ্যমে অবধান রাখছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়।
বাংলাদেশে এই পাখিটি কুটুম পাখি, ইষ্টিকুটুম, সোনারঙের পাখি, হলদে পাখি নামে পরিচিত। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ সে.মি. এবং ওজন প্রায় ৮০ গ্রাম।
হলদে পাখি (বৈজ্ঞানিক নামঃ Oriolus Xanthornus)(ইংরেজিঃBlack -hooded oriole) বা কালোমাথা বেনেবউ)।
পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪৩ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত। বাংলাদেশে ৫ প্রজাতির মতো বেনেবউ দেখা যায়। এরা কীটপতঙ্গ, ফল ও ফুলের নির্যাস আহার করে। এরা নিজেরাও বংশবৃদ্ধি করে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে বাসা বাঁধে। ২-৩ টি ডিম পারে। ডিম থেকে বাচ্চা বেরিয়ে আসার পর থেকে এদের মায়ার মাত্রাটা হাজার গন বেড়ে যায়। শুধরে নিজের বাচ্চা কেই নয় যে-কোন পাখির বাচ্চা চোখের সামনে পরলেই মমতাময় জড়িয়ে পড়ে।
Leave a Reply