কে এম রাজু জেলা প্রতিনিধিঃ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দে ব্রম্মপুত্র নদে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই দিন ব্যাপী শুরু হওয়া অষ্টমী স্নানোৎসবের কারণে মহাসড়কে প্রায় ১৯ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে চালক সহ সকল যাত্রীরা। শনিবার সকাল ১১টা হতেই ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এমন চিত্র ভেসে আসে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক হতে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ সহ মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত তীব্র যানজটের ফলে অনেকে নিজ গন্তব্যে না গিয়ে বাসায় ফিরে আসছেন। এছাড়া অনেক যাত্রীদের কে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় এই উত্তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। রোজাদার যাত্রীগন এমতাবস্থায় নানান বিপাকে পড়েন ও বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মদনপুর থেকে সায়দাবাদের ৩৫ টাকার ভাড়া আজ ৫০ টাকা এবং চিটাগাংরোড থেকে মোগরাপাড়ার ২৫ টাকার ভাড়া আজ ৪০ টাকা করে নিচ্ছে।
বিভিন্ন বাসের হেলপার যাত্রীদের অভিযোগ স্বীকার করলেও দেখাচ্ছে নানান অযুহাত। তারা বলেন, তীব্র যানজটের কারণে যেখানে দুই বার আসা-যাওয়া করা যেতো সেখানে মাত্র একবার হচ্ছে যার ফলে ভাড়া বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছি।
অন্যদিকে এই যানজটে গাড়ীর পাশাপাশি অনেক এম্বুলেন্সও আটকে থাকে দেখা যায়। আজ প্রায় করোনা’র দুই বছর পর এই স্নানোৎসব। তাই আজ লোক সমাগম গত কয়েক বছর থেকে দ্বিগুণ।
এই যানজটে অনেকে যেমন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে তেমনই আবার অনেকে কষ্ট সহ্য করে দেড়-দুই ঘন্টার মতো যানজটে বসে থেকে কিংবা উল্টো পথে অটো/রিকশায় করে যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। এই রকম ২০ মিনিটের রাস্তাও আজ যানজটে বসে অনেকেরই লাগছে দেড়-দুই ঘন্টা!
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সাজ্জাদ করিম খান জানান, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের স্নানোৎসবের কারণে হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ লাঙ্গলবন্দে সমবেত হয়েছেন। ফলে মহাসড়কে গাড়ীর চাপ বেশি। সকাল থেকেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে।
Leave a Reply