আল মাহমুদ সানিঃ বর্তমানে মধ্য বয়স্ক মহিলা ও অল্প বয়সের মেয়ে দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে ছিনতাইয়ের কৌশল অবলম্বন করছে ছিনতাইকারীরা, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এই অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে।
তানভীর( ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে) পেশায় একজন ব্যাবসায়ী, ডাক্তার দেখাতে সোনারগাঁ থেকে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছে আর সাইনবোর্ড থেকে তিনি সি এন জিতে উঠে চাষাড়ার উদ্দেশ্যে, তার পাশে ৩২/৩৪ বছরের একজন মহিলা উঠে এবং ৩ জন ছেলে যাদের বয়স ২৫/৩৫ এর আশেপাশে। স্টেডিয়াম জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছাতেই অজানা কারণে ডানপাশের পুরাতন রাস্তায় সি এন জি নামিয়ে দেয় চালক তখন তানভীর জিজ্ঞেস করলে নিরিবিলি জায়গায় সি এন জি থামিয়ে সাথে থাকা যুবকরা তানভীরকে চড় থাপ্পড় দিতে দিতে সি এন জি থেকে বের করে সাথে সেই অজ্ঞাত নারীকে, এরই মধ্যে ওদের সাথে আরো ৩/৪ জন যোগ দেয়, তানভীর কারণ জিজ্ঞেস করাতে ১ জন বলে উঠে মাইয়া লইয়া আকাম করতে আইছোস আবার জিগাছ কি হইছে, তখন একজন এই ঘটনা ভিডিও করতে থাকে আর তানভীরকে কানে ধরতে বাধ্য করে এবং তাকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে মহিলা পরিচিত এবং অবৈধ কাযক্রম করার জন্য এখানে এসেছে এটার স্বীকারোক্তি নিয়ে ভিডিও ধারণ করে, মহিলা কিন্তু তার আগেই উধাও, এই বার আসল কাজ ভিডিও শেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫০০০০ টাকা দাবি করে, তানভীর অস্বীকৃতি জানালে পরিবারের অন্যদের ফোন নাম্বার চায় এবং ফের মারধর করে, এক পর্যায়ে তানভীর তার বাবা মা, স্ত্রী, সন্তানের কথা, সামাজিক সম্মানের কথা চিন্তা করে ভিডিও ডিলিট করার শর্তে ২০০০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে দিয়ে দেয় কিন্তু ভিডিও ডিলিট না করে তাকে এলাকা ছাড়া করে, তানভীর এখন ভয়ে থাকে এই বুজি ওরা আবার ফোন দেয়, এই বুজি ফেইসবুকে ভিডিও আপলোড করে, প্রতিটা মূহুর্ত তার আতংকে কাটে, সে থানায় অভিযোগ করতেও পারছে না কাউকে সবটা বলতেও পারছে না, কয়েকবার আত্মহত্যার চিন্তা ও মাথায় আসে ( সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
এভাবেই প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জের আনাচে কানাচে নানা রকম ফন্দি আঁটে নিরীহ মানুষদের টার্গেট করে সবকিছু হাতিয়ে নিচ্ছে,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তৎপর হয় হয়তো অনেক নিরীহ মানুষ তার মান সম্মান বাচিয়ে চলতে পারবে নয়তো বিনা করনে আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নিবে কেউ কেউ।
Leave a Reply