আল মাহমুদ সানিঃ দ্রব্য মূল্যের দামে পিষ্ট সাধারণ মানুষের স্বপ্ন। জসীম পেশায় ভ্যানচালক, সারাদিন খেটেখুটে ৪০০/৫০০ টাকা আয় করে, যার মধ্যে সপ্তাহের কিস্তি পরিশোধ করতে হয় ১৩৫০ টাকা। ২টা ছেলে মেয়ের স্কুলের খরচ মেটাতে হয়, সংসার চালাতে হয়, আদমপুর বাজারে মুদি দোকানে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম শুনে চুপচাপ দোকানের সামনে দাড়িয়েই রইলো।
২৫০ গ্রাম তেল, ২ কেজি চাল, ১ কেজি পিয়াজ আর আলু নিয়ে মনে মনে কি হিসাব জানি বিড়বিড় করে মিলাতে চেষ্টা করলো, প্রশ্ন করতেই বলে উঠলো কি করমু মামা শুক্রবার আছিলো তাই পোলা কইছে মাংস খামু কিন্তু এখন তো ভর্তা দিয়েই সারতে হইবো।
এটা শুধু এক জসীমের অংক মিলানোর গল্প নয়, এটা পুরো বাংলার মধ্যবিত্ত, নিম্ম মধ্যবিত্ত, নিম্ম আয়ের মানুষের সংসার চালানোর বাস্তব রূপ।
সোনারগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে সকল রকম দ্রব্য মূল্যের দাম সপ্তাহ ঘুরে বেড়েই চলেছে। দিন দিন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা করোনা কালেও এতটা কষ্টে ছিলো না।
সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর এবং পানাম নগরীর পাশে গড়ে উঠা খাবার দোকান গুলোতে গিয়ে দেখা সুশান নিরবতা, হোটেল ব্যবসায়ী সগীর, শামসুলের সাথে কথা বলে জানা যায় ক্রেতা ৬০% কমে গেছে এবং যারাই আছে প্রতিনিয়ত দাম নিয়ে তর্ক বির্তক চলছে। কোন জিনিসটার দাম কম কন (রাগে বলে উঠলো) বাজারে সবকিছুরই দাম বাড়ছে খালি মানুষের দামই কমতাছে।
বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে সমাজের ৯৮% মানুষ তাদের খাবারের তালিকায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে এবং সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে যাতে অতি শীঘ্রই এই লাগামহীন বাজারের লাগাম টেনে ধরে।
টিসিবির পণ্যের ওপর মানুষ জোর দিচ্ছে তবে সেটাও নিয়মিত পাচ্ছে না। সেটা নিয়মিত করার জন্য সর্বসাধারণ সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
Leave a Reply